বর্ধমান স্টেশনে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বর্ধমান স্টেশনের দু নম্বর ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে বিশালাকার জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল যাত্রীদের ওপর। এখনো পর্যন্ত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত এবং ৪ জনের নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তড়িঘড়ি রেল কর্তৃপক্ষ এবং আরপিএফ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। বুধবারের ব্যস্ততম দিনে অনেক যাত্রী ট্রেন ধরার অপেক্ষায় বসেছিলেন বিশাল আকার জল ট্যাংকির নিচে। কিন্তু এই ভয়ানক পরিণতি হওয়ার তারা আর গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলো না। ইতিমধ্যেই গুরুতর আহত এবং অল্পবিস্তর আহত প্রত্যেককেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বর্ধমান শহর জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ যাত্রীরা। অন্যদিকে বিশাল আকার জল ট্যাংকি ভেঙে পড়ায় রাজনৈতিক চাপান উটোর তো শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ঘটনার খবর সোনা মাত্রই তড়িঘড়ি ছুটে যান বর্ধমান স্টেশনে এবং তিনি তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন রেল কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র রং করে নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগিয়েই দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছে। দীর্ঘদিনের পুরনো লোহার সরঞ্জাম গুলিকে সংস্কার করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশ জুড়ে চারিদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় অসংখ্য যাত্রী প্রাণ হারাচ্ছেন। তারপরও কেন্দ্রীয় সরকারের হুস ফিরছে না। আমরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ধিক্কার জানাই বর্ধমান স্টেশন কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। যাতে সর্বপ্রথম যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারেন তার জন্য। অন্যদিকে ছুটে যান পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ বাবু তিনি বলেন দুর্ঘটনা ঘটেছে রেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে কি কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো। তবে তিনি গাফিলতির বিষয়টি একেবারে এগিয়ে যান। তিনি বলেন তদন্তের সাপেক্ষে এই মুহূর্তে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করে দেখার পর জানা যাবে কি কারনে জল ট্যাংকি হঠাৎ ভেঙে পড়ল। বর্ধমান স্টেশন এ ২ এবং ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে প্রায় এক লক্ষ্য গ্যালন জলের ট্যাং ছিল। সম্পূর্ণ ট্যাংকিটি জল ভর্তি হওয়ায় লোহার পাত গুলি ওজন সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে এমনটাই প্রাথমিক অনুমান দমকল কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই দমকল বাহিনী লোহার পাত সরিয়ে দু'জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে। যদি ওই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলার সভাপতি অভিজিৎ মহাশয় জানান রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে, বিধায়ক খোকন দাস বলেন রেল কোন কাজ করে না এর আগেও বহু ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে ওপর থেকে রং চাং করে দেয়া হয় এবং ভেতর থেকে সমস্ত জিনিস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, পুলিশ সুপার আমানদ্বীপ জানান পুলিশের কড়া নিরাপত্তার সাথে পুরো জায়গা থেকে ব্যারিকেট করা হয়েছে, যাতে আর কোন আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে।