স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ

স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ

বারুইপুরঃ স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক স্বামী । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত শিখর বালি দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালা মনসাতলা গ্রামে । মৃতের নাম অঞ্জলি মন্ডল। বয়স ৩৭ বছর।স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধুকে বাড়িতে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। তারপরেই গ্রামবাসীরা এলাকায় ওই গৃহবধূর খোঁজ খবর শুরু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাগল ঘর থেকে পচাগন্ধ আসায় সন্দেহ হয়। তারপরে বিষয়টি জানাজানি হতেই কৌতুহলী মানুষজন ঘটনা স্থলে ভিড় জমায়। খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। এই খবর পেয়ে পুলিশ ছাগলের ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এই ঘটনার পর মৃত ওই গৃহবধূর স্বামী রবিন মন্ডল পলাতক। ঘটনায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক স্বামী । অঞ্জলি মন্ডলের মা কালি নস্কর সম্পূর্ণ ঘটনা তিনি বলেন, কুড়ি বছর আগে ওনার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রবিন মন্ডল এর। রবিন এলাকায় বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করে। প্রায় সময় রবীন ও অঞ্জলির মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। গত বৃহস্পতিবার দাম্পত্য কলহের জেরে রবিন অঞ্জলি কে মারধর করে। এরপর আর অঞ্জলি কে খুঁজে পাওয়া যায়নি রবিন ও অঞ্জলির মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দিদিমার কাছে গিয়ে বলে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তড়িঘড়ি আমরা এখানে ছুটে আসি এবং রবিনকে জিজ্ঞাসা করি যে অঞ্জলি কোথায়। উত্তরে রবীন বলে যে আমি জানিনা এরপর রবীনের এর কাছে ছাগল ঘরে চাবি চাইতে গেলে রবিন ছাগল ঘরের চাবি দিতে অস্বীকার করে। এরপর আমরা সদস্যকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাই এরপর ছাগল ঘরের চাবি নিয়ে ঘর খুলে দেখি আমার মেয়ের মৃত শরীর। ততক্ষণে রবিন পালিয়ে গিয়েছে। আমি চাই আমার মেয়ের খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন