দীর্ঘদিনের জটিলতায় থাকা জমি কিনে নেওয়ার পর তা দখল করা নিয়ে উত্তেজনা। জমি দখল করতে গিয়ে এক মহিলাকে মারধর ও জোর পূর্বক সামনের অংশ দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই জমি বিক্রি না হলেও জোর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার দেবিপুর গ্রামে। আক্রান্ত ওই মহিলার নাম জায়েদা বিবি। বিষয়টি নিয়ে সুতি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদ শেখ সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাল্টা তার কেনা জমি জোর পূর্বক অন্যজন দখল করে রয়েছে বলে পাল্টা থানায় অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। তার সম্মান খোয়াতেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি তার। যদিও পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে সুতি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, সুতি থানার দেবীপুর গ্রামের মৃত রহিমা বিবির দুই ছেলে ও সাত মেয়ে। তারই প্রায় ১৩ শতক জমির ওয়ারিসন ও বন্টননামা নিয়ে ছেলে মেয়েদের প্রায় বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে গন্ডগোল চলছে। কিন্তু অভিযোগ, বন্টননামা হওয়ার আগেই বোনেদের প্রাপ্য গন্ডগোলের সেই জমি কিনে নিয়েছেন অরঙ্গাবাদ হাইস্কুলের শিক্ষক হামিদ শেখ। যদিও তখনও কেস চলছিলো। অভিযোগ পরবর্তীতে সেই শিক্ষক তার কেনা জমি দখল করার সময় সামনের দিকে থাকা জায়েদা বিবির বাড়িও ঘিরতে যান। কিন্তু সেসময় বাধা দেন ওই মহিলা। তাতেই বাধে বাক বিতণ্ডা। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিও হয়। ওই মহিলাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে সুতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পাশাপাশি ঘটনা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন তিনি। এদিকে ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বৈধভাবেই ৮.২৮ শতক জমি কিনেছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক হামিদ শেখ। বিষয়টি নিয়ে সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উভয় পক্ষ। যদিও আদালতে মামলাধীন বিষয় নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে সুতি থানার পুলিশ।